
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোন দলীয় পদ পদবী না থাকার পরেও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কার ইশারায় রাজনৈতিক বিস্ফোরক মামলা দেওয়া হল সাংবাদিকের নামে। স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা না কাহালু’র সাবেক ওসি শাহীনুজ্জামানের? বাদী কি আদৌ চিনতো সাংবাদিক শামসুল হককে?
গত ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকায় শিবগঞ্জ ও কাহালু থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সাংবাদিক শামসুল হক কে একটি প্রতিহিংসা মূলক মিথ্যে বানোয়াট ভাবে তাকে আসামি হিসেবে এজাহারে নাম উল্লেখ করে দেওয়া মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বগুড়া কাহালু থানা বন্দরে চারমাথা মোড় থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বলে প্রত্যেক্ষ দর্শীরা জানিয়েছেন।
সাংবাদিক শামসুল হক জনি গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মামলার এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায়, অত্র মামলার বাদী মো: হারুন সরকার, পিতা: মো: মফিজ সরকার এর বাড়ী শিবগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাহাটা এলাকায়। গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক ইউথ টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও জাতীয় দৈনিক মাতৃ জগত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ও সাপ্তাহিক অভিযোগ এবং দৈনিক গণকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় প্রেস ক্লাবের (কেন্দ্রীয় কমিটি) দুর্যোগ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আইপি টিভি মালিক সমিতি, ঢাকার সদস্য। এছাড়াও সে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ও সম্পাদক: বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব, কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাব, আইপি টিভি ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা), বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক)। সাংবাদিক শামসুল হক জনি এর বাড়ি কাহালু উপজেলায়।
আরও জানা যায়, বাদীর সাথে সাংবাদিক শামসুল হকের পূর্বের কোন পরিচয় বা কোন শত্রুতাও নেই।
এছাড়াও বগুড়া কাহালু এলাকায় হেভি ওয়েট সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থাকলেও তাদেরকে আসামির তালিকায় নেওয়া হয়নি। আসামির তালিকায় রয়েছে শুধু বগুড়া কাহালু এলাকার সাহসী নির্ভিক এক কলম যোদ্ধা সাংবাদিক শামসুল হক জনি-কে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর অনেকেই জানায়, গত এপ্রিল/ ২০২৫ ইং তারিখে স্থানীয় প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ইয়ুথ টিভি তে নিউজ এবং Md samsul haque নামে আইডিতে সংবাদ প্রকাশ হয়। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে গত ২০শে এপ্রিল /২০২৫ ইং তারিখে রাতে কতিপয় সন্ত্রাসী সাংবাদিক শামসুল হক কে হঠাৎ করে এসে এলোপাথাড়ি তার শরীরে কিল ঘুসি লাথি মারতে থাকে এবং মানুষের মধ্যে মব সৃষ্টি করে লাঞ্চিত করা হয়। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক শামসুল হক জনি থানায় মামলা করতে গেলে, তাকে বগুড়া কাহালু থানার সাবেক ওসি শাহিনুজ্জামান। সে বর্তমানে শিবগঞ্জের অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তার বিপি নং- (৮২১১১৩৭০১৫) মামলা না নিয়ে সাংবাদিক শামসুল হক জনি-কে ফেরত দেয়।
এতে করে স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতার পাশাপাশি সাবেক ওসি (বর্তমান শিবগঞ্জের অফিসার ইনচার্জ) শাহীনুজ্জামান এর সাথে মনোমালিন্য হয়। এদিকে এলাকাবাসী বলছেন ভিন্ন কথা তাদের ধারণা স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও আজ্ঞাবহ কাহালু থানার সাবেক ওসি (বর্তমান শিবগঞ্জের ইনচার্জ) শাহীনুজ্জামান রোষানলে পড়ে সাংবাদিক শামসুল হকের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা মূলক উদ্দেশ্য পরায়ণ হয়ে তাকে এই মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
এমন ঘটনায় মামলার বাদির সাথে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।